নবীনগরে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের মামলা ঘটনায় এতো কান্ড! নেপথ্য কাহিনী অনুসন্ধানে আপত্তি কোথায় ??? শিরোনামে সভাপতির দেওয়া স্ট্যাটাস।

স্টাফ রিপোর্টার:
নবীনগরের টপ অফ দা টাউন এ পরিণত হওয়া নবীনগরের আলোচিত তথাকথিত স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা নিয়ে নবীনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতির (নবীনগরে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের মামলা ঘটনায় এতো কান্ড!
নেপথ্য কাহিনী অনুসন্ধানে আপত্তি কোথায় ???)Facebook এ স্ট্যাটাস নিয়ে নবীনগরের সুশীল সমাজে নানান আলোচনা। রহস্য উন্মোচনের দাবি সাধারণ জনগণ সহ সুশীল সমাজের।
পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল।

নবীনগরে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের মামলা ঘটনায় এতো কান্ড!
নেপথ্য কাহিনী অনুসন্ধানে আপত্তি কোথায় ???
-----------------------

অতি সম্প্রতি নবীনগর দক্ষিণ এলাকায় এক স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে তর্ক বিতর্ক,সংবাদ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের সংবাদ প্রকাশ দেখে আমি রীতিমতো হতভম্ব!
ঘটনার দিন থেকেই আমার মেসেঞ্জারে কয়েকজন শুভানুধ্যায়ীদের মেসেজ পেয়েছিলাম,কেউ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আবার কেউ মেয়েটির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে রিপোর্ট প্রকাশ করেন।

দুঃখজনক হলেও সত্য আমার নিজ এলাকায় এমন ঘটনায় আমি একটু দেখে শুনে রিপোর্ট তৈরি করতে চেয়েছিলাম!
এইজন্যই যে এখন যেহেতু মেয়েটিকে এমন ঘটনার পরেও তার পরিবার বিয়ে দেওয়া লাগবে।
তাই আমি শুধু একজন গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে নয় একজন বাবা বা ভাই হিসেবে সততা নিশ্চিত করে বাস্তবমুখী রিপোর্ট করতে আগ্রহী ছিলাম।

তার আগে আমার মনের মধ্যে কিছু প্রশ্ন চলে আসলো!
যদিও ছেলে মেয়ের কাউকেই আমি চিনি না।

} বিষয়গুলো এমন যে,মেয়েটি কি প্রেম করেছিল ছেলেটির সাথে নাকি ছেলেটি মেয়েটিকে তুলে নিয়ে গেছে ?

} যদি প্রেম থাকে ওদের দুজনের মধ্যে তবে নিশ্চয়ই মেয়েটি প্রেমের টানেই ছেলেটির বাড়িতে গিয়েছিল ??

} যদি অপহরনই হয়ে থাকে তবে নবীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক পারভেজ হোসেন এর ভাষ্যমতে উভয় পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে কিভাবে শালিস বৈঠকে বসা হয়েছে ???

} মেয়েটি যদি অপহৃত হতো তবে ওখানে শালিস বৈঠকের উপস্থিত হলো কিভাবে ????

} আরেকটি বিষয় হলো ছাত্রলীগের এই নেতার কি বিষয়টি সমাধান করার মতো সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থান ছিল না ????
অবশ্যই ছিল বলে আমি মনে করি!!

} নবীনগরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মেয়ে ছেলে নিয়ে এমন বিষয়ে কত কত ফায়সালা হয়েছে পুলিশকে অবগত না করে তার কোন ইয়ত্তা নেই।

এমন অসংখ্য প্রশ্ন তাড়া করছিল আমায়!
এরই মাঝে আসলো মেয়ের মায়ের পরিচয় দেয়া মহিলা আর একজন সাংবাদিক পরিচয় দেয়া ব্যক্তির অডিও রেকর্ড!

নিশ্চয়ই সাংবাদিক পরিচয় দেয়া ব্যক্তিটি আর ঐ মেয়েটির মা কোন পাড়া প্রতিবেশী নয়,সেই বিধায় এই অডিও কল।

সেখানে তিনি (মেয়ের মা)যা বলেছেন সেই কথাগুলো শুনে মনে হয়নি তাকে কেউ ভয় দেখিয়ে বাধ্য করছে এভাবে কথা বলতে!
উনার কথাগুলো শোনে মনে হলো তিনি সরল উক্তিতে কথা বলছিলেন।

ঐ দিন রাতেই মেয়েটির সরাসরি ভিডিও বক্তব্য চোখে পড়লো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সেটা দেখে আমার যা মনে হয়েছে মেয়েটি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে উত্তর দিয়েছেন।
কার কাছে সে এই স্বীকারোক্তি দিলো তাও স্পষ্ট নয়।

আমার কিছু অনলাইন এক্টিভিস্ট বন্ধুগন সেটা খুব আনন্দ নিয়ে পোস্ট করেছেন।
কতটুকু বিকৃত রুচির মানুষ হলে এসব ভিডিও অনলাইনে পোস্ট করা যায় তা নিয়ে আমার কিছু বলার রুচি এই মুহূর্তে আসছে না।
কোন আইনে,কোন দ্বায়বদ্ধতায় উনারা সরাসরি ভিডিও পোস্ট করেছেন তাও আমার জানা নেই।

এইসব ভেবে আমার রিপোর্ট তৈরি করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলি।
আর কি হবে রিপোর্ট তৈরি করে ??
মেয়েটির যা সর্বনাশ করার তা তো হয়েই গেল।
দশম শ্রেণীতে পড়া মেয়েটা কিন্তু আইনত কিশোরী।
দেশের প্রচলিত আইনে স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেয়ার বয়স এখনো তাদের হয়নি!
এবং সেটা আইনের কাছে গ্রহণযোগ্যও নয়।

নবীনগর থানা পুলিশ এরই মধ্যে মেয়েটিকে ছেলে সহ উদ্ধার করে সকল কল্পনা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ধর্ষণ মামলা সম্পর্ন্ন করে ফেলেছেন।
অডিও রেকর্ড আর বাস্তবতার মধ্যে অনেক তফাৎ রেখেই।

মামলায় প্রেমিক বা অপহরণকারী হয়ে গেলো ধর্ষক!
আর প্রেমিকা বা অপহৃত ছাত্রী হয়ে গেলো ধর্ষিতা!!

লাভ হলো কার ?
লছ হয়েছে কাদের ??
এমন প্রশ্নও উঁকি দিচ্ছে মনে!

কয়েকজন সাংবাদিকবন্ধু কল রেকর্ড এর সত্যতা নিশ্চিত করে রিপোর্ট লিখে প্রকাশ করেন ও বিষয়টির তদন্ত দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
অথচ মেয়েটির মা একদিনের ব্যবধানে আবার নতুন সুরে দাঁড়িয়ে গেলো সাংবাদিক সম্মেলন করতে!

মা তো দেখি মেয়ের জন্য অনেক মায়া ?
উনি নিখোঁজ ডাইরী করলেন।
মেয়েকে নিয়ে শালিস বৈঠকে বসলেন।
সম্ভবত দরকষাকষিও করলেন।
এতো কান্ডকানা করে মেয়েকে হেফাজত করতে চাইলেন উনি হয়তো বুঝতেই পারলেন না এর মধ্যে তিনি অবুঝ মেয়ের জীবনে তিনি কতবড় প্রাচীন হয়ে গেছেন!

মেয়েটির জীবন বাঁচাতে গিয়ে তিনি তার মেয়েটির কতবড় সর্বনাশ করে কোথায় নিয়ে গেছেন!
একেক সময় একেক ভুলি তার মেয়েটিকে নিরাপদ তো নয়ই বরং জীবনটাকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করে ফেলেছেন।

এতো রং !
এতো কষ্ট ডেকে রাখার আর কি দরকার ?
মা নিখোঁজ ডায়রী করলো, বৈঠক করলো,পরে ধর্ষণ মামলা করলো,মামলার পর সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে পুলিশ সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিলো বলতে পারলো,পর দিন নাকি হুমকি পাইলো,আবার সাংবাদিকদের জানালো এতো কান্ড কি এমনি এমনি হয় ???
তিনি কি করে এতো কান্ড করলেন ???

হয় না রে পাগলা!!!
রহস্যের বেড়াজালে না থাকলে একটা মানুষের এতো রূপ হয় না।

তো ডিব্বার মুখ খুলতে অসুবিধা কোথায় ?
দেখি কার কতো রং ?
সেখানে অপহরণ করা হলে অপহরণকারী বিচার হোক!
নইলে মায়ের এতো রূপের রহস্য উন্মোচন হোক।।।