মানবিক নেতা মোঃপারভেজ হোসেন এর মানবতায়,অপহরণ গুম মামলা থেকে রক্ষা পেল একটি নিরীহ পরিবার

মানবিক নেতা মোঃপারভেজ হোসেন এর মানবতায়,অপহরণ গুম মামলা থেকে রক্ষা পেল একটি নিরীহ পরিবার 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি, 


সারা বিশ্বে মানব স্বাস্থ্যের জন্য মৃত্যুর ঝুঁকিপূর্ন করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় লকডাউন চলছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোগের প্রতিষেধক এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি।এক মাত্র প্রতিকার সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সচেতন থাকা।বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা মেনে করোনামুক্ত রাখতে মাঠ পর্যায়ে দিনরাত পরিশ্রম করছে প্রশাসনের লোকজন। এক শহর থেকে অন্য শহরে যেতে হলে গুনতে হয় জেল জরিমানা। ঠিক এই মহাবিপদ মূহুর্তে ২৯/০৩/২০২০ ইং তারিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানাধীন নসরাবাড়ি গ্রামের মোঃ রাজীব স্বইচ্ছায় আত্মগোপন করে তারই বন্ধু পাশের গ্রাম রুদ্রাক্ষবাড়ির কামরুল ইসলামকে মিথ্যা অপহরণ গুম মামলায় ফাঁসাতে চেয়েছিলেন।এই বিষয় থেকে রক্ষা পেতে কামরুলের পরিবার মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস রিসোর্স রিভিউ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতা চাইলে,অত্র সংস্থার সমগ্র বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী পরিচালক মোঃ বাবুল দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করে সার্বিক সহযোগিতার জন্য মানবিক নেতা মোঃপারভেজ হোসেন এর সহায়তা চাইলে তিনি সকল ধরনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।তার সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে মানবাধিকার কর্মকর্তা জেলার সদস্যদের নিয়ে জেলার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখোঁজি শুরু করেন।গত ০১/০৪/২০২০ ইং তারিখে কসবা থানাধীন এলাকায় খোঁজাখোঁজি শেষে রাত ১১ঃ৪৫ ঘটিকায়  কুটি চৌমুহনী বাস স্ট্যান্ড এর সাথে পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন একটি আবাসিক হোটেলে রুম ভাড়া নিতে গিয়ে হোটেল ম্যানেজারকে রাজীবের ছবি দেখালে হোটেল ম্যানেজার মোঃ জসিম উদদীন জানায় অল্প কিছুক্ষন আগে সে তার বন্ধু সহ রুম ভাড়া নিতে এসেছিল,কিন্তু করোনা ভাইরাস জনিত কারনে হোটেল বন্ধ থাকায় তারা অন্যত্র চলে গিয়েছে। হোটেল ম্যানেজারের কথা শুনে মানবাধিকার কর্মকর্তা নিশ্চিত হয় যে রাজীব জীবিত থেকে স্বইচ্ছায় আত্মগোপনে রয়েছে। খোঁজাখোঁজির ধারাবাহিকতা অনুযায়ী গত ০২/০৪/২০২০ ইং তারিখ বিকাল ৪ ঘটিকায় রাজীবের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু মুঠোফোনে মানবাধিকার কর্মকর্তাকে জানায়  রাজীব তার সাথে ঘাটুরা মসজিদে আসর নামাজ পড়েছে, খবর পেয়ে মানবাধিকার সদস্যরা দ্রুত ঘাটুরা এলাকায় উপস্থিত হলে রাজীব তা বুজতে পেরে কৌশলে পালিয়ে যায়।এবং  আবার আত্মগোপনে চলে যায়।বিষয়টি ঐ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের অবগত করার পর মুঠোফোনে তার বোন জামাই ফরহাদকে জানালে সে বুজেও না বুজার ভাবভঙ্গি করেন। এদিক দিয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের সহযোগিতা না পেয়ে মানবাধিকার সংস্থার সদস্যরা জেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে খোঁজতে থাকেন।গত ০৩/০৪/২০২০ ইং তারিখ দুপুর ১২ঃ২২ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে তাকে দেখতে পেয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এর সহযোগিতা কামনা করলে তিনি তার কর্তব্যরত এলাকায় যে কোন ধরনের আইনি সহযোগিতা দরকার  হলে তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।তাহার দেয়া আশ্বাসে আশ্বস্ত হয়ে  মানবাধিকার সংস্থার  সদস্যরা প্রথমে রাজীবকে ভাল করে বুজিয়ে বললে সে স্বইচ্ছায় অত্র সংস্থার সদস্যদের সাথে তার নিজ উপজেলা নবীনগর চলে আসেন। নবীনগর আসলে মানবাধিকার কর্মকর্তা বিষয়টি  সামাজিকভাবে সমাধান  না হলে  থানা প্রশাসনের মাধ্যমে সমাধান করবে বলে নবীনগর থানা ওসি তদন্ত রুহুল আমিন কে মুঠোফোনে  অবগত করলে, তিনি জানায় আইনগত সহযোগিতা দরকার হলে থানা প্রশাসন সহযোগিতা করবে।পরিশেষে বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য মানবিক নেতা মোঃপারভেজ হোসেন এর অফিসে নিয়ে গেলে এই নেতার মহানুভবতায় উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে আত্মগোপনে থাকা রাজীবকে তার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যের হাতে তোলে  দিয়ে পরিষদ সদস্যকে কড়াভাবে হুশিয়ারী দিয়ে বলেন,এমন অমানবিক কাজ যেন তার এলাকায় আর না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে এবং এই বিষয়টি সামাজিকভাবে বসে ন্যায় বিচারের মাধ্যমে শেষ করে দিতে । মানবিক নেতার সার্বিক সহযোগিতা ও মানবাধিকার সংস্থার  বুদ্ধিমত্তা কৌশলে রাজীবকে ফিরে পেয়ে একটি নিরীহ পরিবার গুম অপহরণ মামলা থেকে বেঁচে  যাওয়ায় নাটঘর ইউ/পি ও কাইতলা ইউ/পি এর উপস্থিত গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জানায়, এই মানবিক  নেতার কারনে একটি নিরীহ পরিবার মিথ্যা মামলায় ফাঁসা থেকে বেঁচে গেলেন,তার মত যদি সবাই এভাবে এগিয়ে আসে তবে অচিরেই সমাজ থেকে অপরাধ নির্মুল হয়ে বঙ্গবন্ধুর  সোনার বাংলা গঠন হবে।