নবীনগরে আজ সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী শীতকালীন পিঠা উৎসব-২০২৪

মলয়া ডেস্ক:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে গ্রামীণ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে আজ ২৮ ডিসেম্বর রাত ০৮ ঘটিকা থেকে শুরু হয়ে ১০ ঘটিকা পর্যন্ত পৌরসভার আলীয়াবাদ হোপ প্রধান কার্যালয়ে আয়োজন করা হয় শীতকালীন পিঠা উৎসব ২০২৪।  আয়োজনটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে গ্রামীণ পিঠার স্বাদ আর ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির মেলবন্ধনে।
উৎসবে হোপ কার্য নির্বাহী পর্ষদের সভাপতি হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক ড. তৌফিকুল ইসলাম মিথিল, উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক,  জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য রাজিব আহসান চৌধুরী পাপ্পু , এডাব ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি এস এম শাহীন,অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হোপের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম আসাদুজ্জামান কল্লোল, জাগরণী চক্রের জোনাল ম্যানেজার নুরে আলম, স্বপ্নতরী সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবু তাহের ,ইশা সমাজ কল্যাণ সংস্থা নির্বাহী পরিচালক তাপসী রায়, কার্যনির্বাহী পর্ষদের সম্মানিত সদস্য প্রভাষক মোহাম্মদ মুক্তাদির, জৈষ্ঠ্য প্রভাষক শিউলি পারভীন, সহকারী শিক্ষক আমেনা খাতুন, কক্সবাজার জেলার হর্টিকালচার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন সুমন , ব্যারিস্টার জাকির আহমেদ কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ইকবাল হোসেন, নবীনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ চক্রবর্তী, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আবু কামাল খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক ও সার্বজনীন গ্রুপের চেয়ারপার্সন মোঃ হোসেন শান্তি, সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন মনির, বিএনপির থেকে নেতা গোলাম মোহাম্মদ শিবলী,উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ইমদাদুল ভারী, স্বেচ্ছাসেবক দলের বায়েজিদ ইসলাম বাবু, প্রেসক্লাবের  সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজ, সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক দেলোয়ার হোসেন , হোপের উপ-নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ উদ্দিন সহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সংস্থার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ সহ প্রায় চারশত লোকের উপস্থিতি ছিল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন হোপ কার্যনির্বাহী পর্ষদের সহ-সভাপতি মোঃ আবু কাওছার।
 

শীতকালীন পিঠা উৎসবটি মূলত গ্রামীণ জনপদের ঐতিহ্যবাহী পিঠাকে কেন্দ্র করে আয়োজিত প্রদর্শনীতে ভাপা, চিতই, পাটিসাপটা, দুধ চিতই, নারিকেল পুলি, এবং তিলপিঠার মতো ৭১ আইটেমের বিভিন্ন ধরনের পিঠা স্থান পায়। প্রতিটি পিঠা গ্রামীণ জীবনের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। শীতের সকালে বা সন্ধ্যায় এসব পিঠা কেবল খাবার নয়, বরং পরিবার ও সমাজের মানুষের মধ্যে এক অন্যরকম সেতুবন্ধন তৈরি করে।

আয়োজকদের মতে, এই পিঠা উৎসব শুধু খাবারের প্রদর্শনী নয়; এটি আমাদের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিকে ধরে রাখার একটি প্রচেষ্টা। নতুন প্রজন্মের মধ্যে এই ঐতিহ্যের গুরুত্ব তুলে ধরতে তারা প্রতিবছর এ ধরনের আয়োজন চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।