নবীনগর মাঠে নবদিগন্ত: পৌরসভার তৎপরতায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে খেলার উপযোগী মাঠ
- June 8,2025
- 624 views

মলয়া ডেস্ক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর, ০৮ জুন ২০২৫: ঈদের ছুটি মানেই যেন এক উৎসবের আমেজ, কিন্তু নবীনগর পৌরসভা এবার সেই উৎসবে যোগ করেছে এক নতুন মাত্রা। যেখানে ঐতিহ্যের ভারে ঈদ-উল-আযহার পশুর হাট বসলেও, এবার সেই হাটের পর খেলার মাঠের বেহাল দশা আর নয়! নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এবার এক ভিন্ন চিত্র। পৌরসভার অক্লান্ত পরিশ্রমে, মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে খেলার মাঠের পুরনো গৌরব পুনরুদ্ধার হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঈদ-উল-আযহার পশুর হাট বসানোর প্রথা চলে আসছে। এই প্রথা মাঠের ব্যাপক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল, এবং হাট শেষ হওয়ার পর মাঠ মেরামতের কোনো উদ্যোগই নেওয়া হতো না। ফলে বছরের পর বছর খেলার মাঠটি খেলার অনুপযোগী হয়ে পড়ে থাকত।কিন্তু এবার বদলেছে চিত্র। নবীনগর পৌরসভার উদ্যোগে প্রথম বারের মতো হাট শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা তৎপরতা। ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে মাঠ থেকে সকল বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে, এবং প্রয়োজনীয় মাটি ও বালি দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ভরাট করে মাঠটিকে পুনরায় খেলার উপযোগী করে তোলা হয়েছে।
এই দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে পৌরসভার সকল পরিচ্ছন্নতাকর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রম। ঈদের ছুটি ভোগ না করে পৌরবাসীকে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ উপহার দেওয়ার জন্য তাদের এই প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিব চৌধুরী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "খেলার মাঠে হাট-বাজার বসানোতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ঐতিহ্যগতভাবে নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ঈদ-উল-আযহার পশুর হাট বসে। হাট বসানোর কারণে মাঠ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পূর্বে হাট শেষ হওয়ার পর মাঠ মেরামতের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো না। এই প্রথম নবীনগর পৌরসভার উদ্যোগে হাট শেষ হওয়ার ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে মাঠের সকল বর্জ্য অপসারণপূর্বক প্রয়োজনীয় মাটি/বালু দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ভরাট করে মাঠটিকে খেলার উপযোগী করা হয়েছে।"তিনি আরও বলেন, "তারপরও ক্রীড়াপ্রেমীদের কোন পর্যবেক্ষণ থাকলে আমরা সে নিরিখে মাঠ উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। পৌরসভার সকল পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে স্যালুট জানাই যারা ঈদের ছুটি ভোগ না করে পৌরবাসীকে পরিচ্ছন্ন উপহার দেওয়ার চেষ্টা করছেন।"
এই ঘটনা নবীনগর পৌরসভার দায়বদ্ধতা এবং জনগণের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আশা করা যায়, এই উদ্যোগ আগামী দিনে আরও অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং নবীনগরের ক্রীড়াক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
