ঈদ উপহার কেলেঙ্কারি: তালিকার ৮ লাখ মোবাইল নম্বর বাতিল, নতুন পদ্ধতি ঘোষণা
- May 17,2020
- 910 views
প্রা’ণঘাতী করো’নাভাই’রাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বাবদ নগদ ২৫০০ টাকা সহায়তা কার্যক্রমে উপকারভোগীদের তালিকায় হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
হবিগঞ্জের লাখাই উপজে’লায় সাড়ে ৬ হাজার পরিবার এ সহায়তা পাবে। তবে তালিকায় একই মোবাইল নম্বর ভিন্ন নামে ব্যবহার হয়েছে একাধিক বার।
রয়েছে অনেক বিত্তশালী এবং জনপ্রতিনিধির আত্মীয়-স্বজনের নামও।
এর মাঝে ৪ মোবাইল নম্বর ৩০৬ বার- যথাক্রমে একটি নম্বরে ৯৯ জন, একটিতে ৯৭ জন,একটিতে ৬৫ জন ও একটিতে ৪৫ জনের নাম দেওয়া হয়েছে।নম্বরগুলো চেয়ারম্যানের আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠজন বলে জানা গেছে।
আবার একটি ওয়ার্ডে কোনও হিন্দু পরিবার বসবাস না করলেও সেই ওয়ার্ডের তালিকায় তিনজন হিন্দু ব্যক্তির নামও রয়েছে।
রয়েছে অনেক বিত্তশালী ব্যক্তির নাম। আবার স্বামী-স্ত্রী’র নামও এসেছে তালিকায়।
জানা যায়, মুড়িয়াউক ইউনিয়নের নগদ টাকা পাওয়ার তালিকায় ১১৭৬ জনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে।
এর মাঝে ৩০/৩৫টি নম্বর একাধিক নামের সাথে প্রদান করা হয়েছে।
০১৯৪৪৬০৫১৯৩ নম্বরে দেওয়া হয়েছে ৯৯ জনের নাম।
চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই আক্তার মিয়ার ০১৭৪৪১৪৯২৩৪ ব্যবহার করা হয়েছে ৯৭ জনের নামে।
চেয়ারম্যানের চাচা শাকিল হক এর ০১৭৮৬৩৭৪৩৯১ নম্বর দেওয়া হয়েছে ৬৫ জনের নামে।
চেয়ারম্যানের গোত্রের নবীর মিয়ার ০১৭৬৬৩৮০২৮৪ নম্বর দেওয়া হয়েছে ৪৫ জনের নামে।
১০/১২ জন করে নাম ব্যবহার করা হয়েছে অন্তত ৩০টি নম্বরে।
এদিকে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কোনও হিন্দু লোকের বসবাস না থাকলেও তালিকার ৯৫৮, ৯৬৫ ও ৯৭৩ সিরিয়ালের তিনটি নাম হিন্দু ব্যক্তি।
আবার ওই ইউনিয়নের বিত্তশালী আক্কল আলীর ছে’লে সাবউদ্দিন এর নাম এসেছে তালিকায়।
আরো অনেক বিত্তশালীর নাম পাওয়া গেছে তালিকায়। তালিকার ১৬১ ও ১৬৩ নম্বর লোক দুজন স্বামী-স্ত্রী’।
তালিকার ৯৫১, ৮৫৫, ৮৫৩, ৮৫২, ৮৫১ ও ৭৮৪ নম্বর এর ছয়জন একই পরিবারের।
মুড়িয়াউক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইস’লাম মলাই জানান, উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা লুসিকান্তহাজং এর নির্দেশে তিনি ১১৭৬ জনের মধ্যে আম’রা ৭৩০ জনের নাম মেইল করি। পরে উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা,তার সিএ, স্টাফ দুর্লভ ও পিআইও অফিসের মঈন উদ্দিন মিলে অবশিষ্ট তালিকা করে।
পরে ইউএনও এবং তার সিএর করো’না হলে তারা আইসোলেশনে যান। ফলে তালিকার বিষয়ে আমা’র কিছু জানা নেই।
আর তালিকাটি ছিল খসড়া। আমা’র কোনও স্বাক্ষর নেই। কোনও টাকাও দেওয়া হয়নি।মূলত আমা’র প্রতিপক্ষ আমাকে ঘায়েল করতে খসড়া তালিকা নিয়ে অ’পপ্রচার করছে।
উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা লুসিকান্ত হাজং এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার সরকারি নম্বরটি কেউ রিসিভ করেননি।
লাখাই উপজে’লা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ জানান, শুধু মুড়িয়াউক ইউনিয়নই নয় উপজে’লার ৬টি ইউনিয়নেই তালিকায় এ ধরনের অ’ভিযোগ রয়েছে। তালিকা প্রণয়নে আমাদের কোনও পরাম’র্শ নেওয়া হয়নি।
চেয়ারম্যান মেম্বাররা নিজেদের লোকের নাম ও এক নম্বরে অনেক নাম ব্যবহার করেছেন।
বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষক প্রেরণ করে যাচাই করলেও অনেক অনিয়ম রয়েছে। আবার অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান,মেম্বার থাকলেও দলের দরিদ্র লোকজনের নাম না দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীর নাম দেওয়া হয়েছে। ত’দন্ত করলেই সত্য বেরিয়ে আসবে।