শান্তির নবীনগরে অশান্তির বাতাস।শান্তি ফিরে পেতে চায় প্রবীন নবীন তরুনেরা

স্টাফ রিপোর্টারঃ

সুজলা সুফলা শষ্য শ্যামল অপরুপ চিত্র নন্দিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শান্তির উপজেলা নবীনগর। 

এই উপজেলার যেমন রয়েছে সৌন্দর্য তেমনি রয়েছে সুন্দর মন মানসিকতার খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব।

বাংলাদেশের প্রতিটি সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত রয়েছেন অনেক সনামধন্য ব্যক্তিগন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্য্যলয়  থেকে শুরু করে বাংলাদেশর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন এই উপজেলার সুশিক্ষিত ব্যক্তিগণ।

বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও রয়েছে এই উপজেলা স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গের সুনাম।

সোনালী ফসল, পুকুরের মাছ,গোয়ালের গরুর দুধ,সব কিছুতেই সতেজ টাটকা স্বাধ এই উপজেলায়।

বর্তমানে এই উপজেলায় বইছে অশান্তির বাতাস। 

স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর এত আইনশৃঙ্খলার অবনতি ইতিমধ্যে কেউ নিজ চোখে দেখেনি বা শুনেনি এমনটাই মনে করেন সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে সকল শ্রেনী পেশার মানুষ। 
একদিনে তিনটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
গত ৪ মাসে অনেকগুলো  খুন,বিশ্ব মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া থানাকান্দি মিথ্যা ও হয়রানির স্বীকার শত শত অসহায় হতদরিদ্র, মাদকের ঘ্রাসে যুবসমাজ,দূর্নীতিতে নিমজ্জিত কতিপয় সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, সুদ ঘুষে ঢুবে থাকা সামাজিক ব্যবস্থা যেন সকল অর্জিত সুনাম বিনষ্টের মূলমাধ্যম হিসাবে পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই উপজেলায়।  
এই সম্পর্কে সুশীল সমাজের একজন প্রবীণ রাজনীতিবীদ নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ  শফিকুল ইসলাম বলেন,বর্তমানে  রাজনীতিবিদদের হাতে রাজনীতি না থাকায় এই রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো ঘটতেছে।তিনি মনে করেন পূর্বেও এই উপজেলায় অনেক অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিন্তু তখন ইন্টারনেটের ব্যবহার যথাযথ না থাকায় অপরাধগুলো ভাইরাল হয় নাই।বর্তমান ডিজিটাল যুগের সামান্য অপরাধ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।নবীনগরে শান্তি ফিরে পাওয়ার জন্য  তার পরামর্শ হল স্থানীয় প্রশাসন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় নেতাকর্মী সকলের মধ্যে আন্তরিকতা থাকতে হবে।কেউ কারো প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করতে পারবে না।ব্যক্তিকে প্রাধান্য না দিয়ে সকল দায়িত্বরত কর্মকর্তাগন নিজ নিজ চেয়ারে সততার সাথে পক্ষপাতিত্ব ছাড়া দায়িত্ব পালন করলেই পুরোপুরি শান্তি ফিরে পাওয়া সম্ভব। 

এই সম্পর্কে নবীনগর উপজেলা যুব সমাজের অহংকার সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোঃ পারভেজ হোসেন phnewsbd.com কে  বলেন,নবীনগর উপজেলার কিছু  দাঙ্গা প্রবল ইউনিয়ন রয়েছে।যারা দীর্ঘদিন ধরে দাঙ্গা সংঘর্ষের সাথে সম্পৃক্ত।বর্তমান মাননিয় সংসদ সদস্য নবীনগর উপজেলাকে শান্তিময় করে গড়ে তুলার জন্য সেই সকল দাঙ্গা প্রবল ইউনিয়ন চিহ্নিত করে মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ।
তিনি ইতিমধ্যে কয়েকটি ইউনিয়নে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গ্রুপিং রাজনীতি বন্ধ করে এক হয়ে কাজ করার জন্য নিজ উদ্যোগে সকলকে মিলিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তিদের কুপরামর্শের কারনে তারা শান্তি ভঙ্গ করে নিজেদের মধ্যে  আধিপত্য বিস্তার করার জন্য সংঘর্ষে জড়িয়ে নবীনগরের শান্তি নষ্ট সহ আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে চলছেন।
নবীনগরের শান্তি ফিরিয়ে পাওয়ার জন্য তার পরামর্শ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী,জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় নেতা,কর্মীদের সমন্বয়ের মাধ্যমে পক্ষপাতিত্ব ছাড়া সকলে সকলের জায়গায় সততার সাথে কাজ করে তবেই শান্তি ফিরে পাওয়া নিশ্চিত হবে।

নবীনগর উপজেলায় শান্তি ফিরে পাওয়ার ব্যপারে তরুন ছাএ নেতা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য মোঃ ইউসুফ আবদুল্লাহ তনু মনে করেন,স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন, স্থানীয় নেতাকর্মীরা একে অপরের প্রতি আন্তরিক হয়ে সততার সাথে কাজ করলেই  শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।নবীনগরের একজন প্রবীণ সাংবাদিক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু এই উপজেলার শান্তির ব্যপারে বলেন,প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে মুক্তিযুদ্ধা, শিক্ষক, সুশীল ব্যক্তিদের নিয়ে একটা কমিটি করে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করলে দ্রুত সমস্যাগুলো চিহ্নিত হবে এবং সমস্যাগুলো সঠিক সমাধানের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস রিসোর্স রিভিউ ফাউন্ডেশনের সমগ্র বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী পরিচালক মোঃ বাবুল মনে করেন,বর্তমান সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি তার কোন টাকা পয়সার প্রতি লোভ লালসা নেই,তিনি নবীনগরবাসীকে সব সময় দিতে চায়, যদি থানা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় নেতাকর্মীরা স্থানীয় সংসদ সদস্যকে ফাঁকি না দিয়ে  সততার সাথে কাজ করে  যায় তবেই শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। এই জন্য তরুন নেতৃত্বকে দায়িত্ব দিতে হবে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে প্রতি মূহুর্তের খবরাখবর বর্তমান সংসদ কে অবগত করার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান করতে।