মাদক কারবারির দম্ভোক্তি... 'মার্ডার কইরা আইয়া পড়বা, যহন তহন জামিন দিয়া দিমু'

পুলিশ আমাগোরে কত ধরব? আমাগো জেল খাটতে খাটতে অভ্যাস হইয়া গেছে। আমরার কয়ডা মামলা? অহন মার্ডারও কইরা লাইতে পারি। দাও দিয়া গলাডা আলগা কইরা ফালামু। আমাগো উকিলে কয়, মার্ডার কইরা আইয়া পড়বা, যহন তহন জামিন দিয়া দিমু!' আধা মিনিটের একটি ভিডিও ফুটেজে এক নারীকে 'দা' হাতে নিয়ে কাউকে উদ্দেশ্য করে উচ্চস্বরে এভাবেই কথাগুলো বলতে দেখা গেছে।

গত দুই দিন ধরে এই ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেনের নির্দেশে অবশেষে পুলিশ গতকাল বুধবার রাতে ওই নারী ও তার স্বামীকে ২৫ লিটার চোলাই মদসহ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্রের আশ্রয়ে প্রকাশ্যে জমজমাটভাবে মাদক কারবার করার অভিযোগ রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই নারীর নাম মণি দেব (৩৫)। তার স্বামীর নাম লিটন দেব (৪৪)। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা সদরের হরিসভা মন্দিরসংলগ্ন সাহাপাড়ায় এদের বসবাস।

 

স্থানীয়রা জানান, লিটন দেব নবীনগর বাজারে একসময় পান-সুপারি বিক্রি করত। গত কয়েকবছর ধরে মাদকের সঙ্গে জড়িত স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে সে-ও মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তার স্ত্রী মণিকেও সঙ্গে নিয়ে একটি প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়ে বাড়িতে বসেই নির্বিঘ্নে মাদক কারবার করছে। এখন স্থানীয় লোকজন তাকে 'মাদক সম্রাট লিটন' হিসেবেই চেনে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রতিবেশী কালের কণ্ঠকে বলেন, মাদক সম্রাট লিটন গত কয়েক বছরে বহুবার গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে তাকে বেশিদিন জেলে আটকিয়ে রাখা যায় না। তার আশ্রয়দাতাদের কল্যাণে স্বল্প সময়ে লিটন বারবারই জেল থেকে বের হয়ে আসে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মকবুল হোসেন আজ সকালে কালের কণ্ঠকে বলেন, মাদক কারবারের অভিযোগে ২৫ লিটার চোলাই মদসহ স্বামী-স্ত্রীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দিয়ে আদালতে চালান করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় বহু মাদক মামলা রয়েছে।

সূএ:কালের কন্ঠ