ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে গালি দিলেই মামলা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে গালিগালাজ করলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে নিয়ে কটাক্ষকারীদের সতর্ক করলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে গালিগালাজ করলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের এই সংসদ সদস্য।

রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভায় এ কথা বলেন তিনি।

লকডাউনের মধ্যেই গত ১৮ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় বরেণ্য আলেম মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজার নামাজে লাখো মানুষের সমাগম হওয়ার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে কটাক্ষ করে আপত্তিকর পোস্ট দেন।

সাংসদ মোকতাদির চৌধুরী বলেন, 'ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কিছু হলেই ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে গালি দেয়। কী যে অপরাধ করলাম, এটা আমরা বুঝলাম না। ব্রহ্মণবাড়িয়াকে গালি দেওয়া খুবই সহজ। আমরা এই গালিটা পাই। যারা গালি দেয়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা যতটা পারি আইনগত ব্যবস্থা নেব এবং আমরা কাউকে ছাড় দেব না।'

তিনি আরও বলেন, 'কারও রক্তচক্ষুকে আমরা ভয় পাই না। আমার সহকর্মীদের বলেছি, কারও কারও বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত মামলা করার চেষ্টা করছি। যদি নিয়মিত মামলা না হয়, তাহলে আমরা হয়তো উকিল নোটিশ দিয়ে আদালতে তাদেরকে দাঁড় করাব।'

এছাড়া চাল ও ত্রাণ চুরির ঘটনায় সতর্ক করে সাংসদ মোকতাদির বলেন, যাদেরকে ত্রাণ দেওয়া হবে, তারা যেন সঠিক লোক হয়- সেটা নিশ্চিত করতে হবে। চুরির জন্য যদি জনপ্রতিনিধি কিংবা আমাদের দলীয় লোক অভিযুক্ত হন, আমরা কাউকে ছাড় দেব না।

জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার প্রমুখ।