যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১২ জন মানুষ নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন।

ওয়াশিংটন, ২৩ মার্চ - যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১২ জন মানুষ নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন। দেশটিতে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটি। যুক্তরাষ্ট্রে এখন করোনায় মত্যুর সংখ্যা ৪১৪ জন। সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত জনবহুল নিউইয়র্ক।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহামারি করোনাকে প্রতিরোধে ও প্রাণঘাতী ভাইরাসটির বিস্তার রোধে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয়ভাবে আরও বেশি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তারা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয়ভাবে পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আরও বেশি মানুষ প্রাণ হারাবেন। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী শুধু নিউইয়র্কেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১১৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দেশটিতে প্রতিদিন আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছেই।

গত একদিনে আরও ৮ হাজার ১৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । এ নিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতির দেশটিতে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৩৫৬ জনে। দেশটির কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের সিনেটর র্যান্ড পলের দেহেও আজ করোনার উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে।

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো এবং নিউইয়র্ক শহরের মেয়র বিল ডি ব্লাসিও উভয়েই রোববার চিকিৎসা সামগ্রীসহ অন্যান্য সেবাসমাগ্রীর অত্যাবশ্যকীয় চাহিদা পূরণে হোয়াইট হাউসকে আরও বেশি জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

মেয়র ব্লাসিও এনবিসিকে বলেন, ‘যদি প্রেসিডেন্ট সক্রিয় ভূমিকা না নেন, তাহলে যারা বাঁচতে পারতেন তারাও হয়তো মারা যাবেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আমরা যদি আরও ভেন্টিলেটর না পাই তাহলে অনেক মানুষ হয়তো মারা যাবেন, যাদের হয়তো মরতে হতো না।’

গভর্নর কুওমো কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আরও বেশি চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করার জোর দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ, প্রতি মিনিট হিসাব করতে হচ্ছে এবং এটা আসলেই জীবন ও মরণের বড় একটা প্রশ্ন।’ রোববার সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা বলেন তিনি।

সূত্র : জাগো নিউজ
এন এইচ, ২৩ মার্চ