করোনা চিকিৎসায় ম্যাজিকের মতো কাজ করছে জাপানি যে ওষুধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী মহাবিপর্যয় নেমে এনেছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। চীন থেকে উৎপত্তি এই ভাইরাস এরই মধ্যে বিশ্বের ১৭২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

করোনাভাইরাস চীনকে মৃত্যুপুরী বানালেও সেখানে বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। তবে বর্তমানে এই ভাইরাস তাণ্ডব চালাচ্ছে ইউরোপের দেশ ইতালিতে।

এরই মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণে এক দিনে মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড ছাড়িয়েছে ইতালি। দেশটিতে বুধবার ৪৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে।
ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী তাণ্ডব চালালেও এখনও এর নির্দিষ্ট কোনও প্রতিষেধক বের করা সম্ভব হয়নি। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। ঠিক এই মুহূর্তে ‘কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সফল’ চীনা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ দিচ্ছে আশা জাগানিয়া তথ্য।

বলছে, জাপানের একটি ওষুধ আছে। নাম ‘ফ্যাভিপিরাবির’। উদ্ভাবন হয়েছিল ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য। সেটি করোনাভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও কার্যকর। এটি বলা যায়, এই চিকিৎসায় ম্যাজিকের মতো কাজ করছে।

বুধবার জাপানি সংবাদমাধ্যম বিষয়টি সামনে আনে। একইসঙ্গে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানও এ বিষয়ে বিশেষ প্রতিবেদন করেছে।

মঙ্গলবার চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ঝাং জিনমিন বলেছেন, জাপানি প্রতিষ্ঠান ফুজিফিল্মের সহযোগী সংস্থা ইনফ্লুয়েঞ্জার ওষুধ ‘ফ্যাভিপিরাবির’ উদ্ভাবন করেছিল, যা করোনা ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল উহান ও শেনজেনের ৩৪০ জন রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা হয়। আর সেখানে দেখা যায় আশা জাগানিয়া সাফল্য।

ঝাং জিনমিন সাংবাদিকদের বলেন, ওষুধটিতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষেত্রে উচ্চমানের সুরক্ষা রয়েছে। এটি এই চিকিৎসার ক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে কার্যকর।

পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচ জানিয়েছে, শেনজেনে যেসব রোগীদের ওই ওষুধ দেওয়া হয়েছিল, তাদের করোনাভাইরাস পজেটিভ হওয়ার চারদিনের মধ্যেই আবার নেগেটিভ হয়ে গিয়েছিল। আর যাদের ওই ওষুধের চিকিৎসা না করে অন্য চিকিৎসা করা হয়, তারা ১১ দিনেও সুস্থ হতে পারেননি।একইসঙ্গে পরবর্তীকালে এক্স-রে করে দেখা যায়, যারা এই ওষুধ সেবন করেছেন, তাদের ফুসফুসের সংক্রমণের অনেক উন্নতি হয়েছে, যা অন্যদের ক্ষেত্রে ছিল তুলনামূলক কম।