নবীনগরে স্বজন-প্রীতির অভিযোগে বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ও এক সদস্য সাময়িক বরখাস্ত

সরকারি নিয়ম-নীতির ব্যত্যয় ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীর তালিকা প্রণয়নে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউপির চেয়ারম্যান কবির আহমেদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। একই অভিযোগে বীরগাঁও ইউপির ২নং ওয়ার্ডের আবু তাহের মিয়াকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মে) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হবার পর এ নিয়ে সারাদেশে মোট ৭১ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এদের মধ্যে ২৩ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৪৫ জন ইউপি সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য এবং দুইজন পৌর কাউন্সিলর।

জানা গেছে, নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নে দরিদ্রদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর এককালীন নগদ অর্থ সহায়তার তালিকায় ব্যাপক অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন সরকার গত ১৮ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত আবেদন করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি পরদিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজর আসে, জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান নবীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুমকে বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।

এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইকবাল হাসানের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়।
গত ২০ মে বুধবার দিনভর ওই এলাকা পরিদর্শন করেন এসিল্যান্ড ইকবাল হাসানের নেতৃত্বে তদন্ত দলটি।

পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন।

আদেশে বলা হয়, তার এই অপরাধমূলক কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। কাজেই স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

একইসময় সাময়িকভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশে কেন তাদের চূড়ান্তভাবে পদ থেকে অপসারণ করা হবে না, তার জবাবপত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়।