নবীনগরে শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মলয়া ডেস্ক 
শিক্ষা জীবন বলতে জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়কে বোঝায়, যা জ্ঞান অর্জন, দক্ষতা বিকাশ এবং সামাজিকীকরণের জন্য শিক্ষার বিভিন্ন মাধ্যমে (যেমন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, বা অন্যান্য আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক ক্ষেত্র) অতিবাহিত করা হয়। এটি ব্যক্তির ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত্তি স্থাপন করে এবং তাকে একটি দায়িত্বশীল, আত্ম-নির্ভরশীল এবং সমাজের জন্য উপযোগী সদস্য হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করে। এরকমই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান 'কনফিডেন্স কোচিং সেন্টার' এর শিক্ষা মান উন্নয়নে প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পৌরসভার ভোলাচংয়ে অবস্থিত ২৮ আগস্ট, ২০২৫ - সম্প্রতি শিক্ষা খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করার জন্য ছাত্র-শিক্ষক অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করে আলোচনায় এসেছে 'কনফিডেন্স কোচিং সেন্টার'। শিক্ষার্থীদের সার্বিক শিক্ষার মানোন্নয়নে তারা গ্রহণ করেছে এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ, যা ভবিষ্যতে আরও নতুন কার্যক্রমের ইঙ্গিত দেয়। কোচিং সেন্টারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো শুধুমাত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নয়, বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস, অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনত বৃদ্ধি করা।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে, কোচিং সেন্টারটি নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের কর্মশালা এবং সেমিনারের আয়োজন করছে। এসব অনুষ্ঠানে অভিজ্ঞ শিক্ষক ও শিক্ষাবিদগণ শিক্ষার্থীদেরকে পড়াশোনার বাইরেও জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল হওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন। আজকে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে, শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় শিক্ষামূলক বিভিন্ন বই, যা তাদের জ্ঞান অন্বেষণের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে তুলবে। সেই সাথে অভিভাবকদের হাতেও বিভিন্ন ধর্মীয় বই তুলে দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক নাসির চৌধুরীর সভাপতিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঐতিহ্যবাহী নবীনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ হোসেন শান্তি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিখা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, গুঞ্জন পাঠাগারের প্রতিষ্টাতা প্রভাষক স্বপন মিয়া, নবীনগর প্রেস ক্লাবের সদস্য মোঃ আবু কাওছার, বিবি নিউজ এর প্রতিষ্ঠাতা মাহবুব মোর্শেদ, শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন, যারা শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে বক্তব্য দেন।
'কনফিডেন্স কোচিং সেন্টার' এর এই কার্যক্রম প্রমাণ করে যে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নয়, বরং শিক্ষার্থীদের প্রতিভার বিকাশ ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আশা করা যায়, তাদের এই প্রচেষ্টা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এক নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও অনুপ্রাণিত করবে।